আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অভিষেকেই ছড়িয়েছিলেন দ্যুতি। এন্টিগা টেস্টে নিজের অভিষেকে পেয়েছিলেন তিন উইকেট। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলেন অনিয়মিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের জন্মস্থান সিলেটে বোলিংটা হয়নি প্রত্যাশিত।
নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েলিংটন টেস্ট থেকে শুরু তার অন্যভাবে মেলে ধরা। সর্বশেষ ৫ টেস্টে ১৬ উইকেটে নিজেকে অপরিহার্য বোলার হিসেবে করেছেন উপস্থাপন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার।
টেস্টে পেস বোলারদের মধ্যে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে শ্রীলংকা সফরে বাংলাদেশ দলের পেস অ্যাটাক। গত জুলাইয়ে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছেন রাহি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। খালেদ,এবাদত নাসুমের সঙ্গে করছেন প্র্যাকটিস।
দীর্ঘ সময় ক্রিকেটের বাইরে থাকায় ফিটনেস ফিরে পেতে করছেন রাহি বাড়তি পরিশ্রম। সিলেট স্টেডিয়ামের পাশে পাহাড় থাকায় সেই পাহাড়ে রানিং সুবিধা পাচ্ছেন।
তাতেই ফিটনেসে প্রত্যাশিত উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাহি। বুধবার হোয়াটসঅ্যাপে বিসিবি প্রেরিত ভিডিও বার্তায় সে কথাই বলেছেন ৯ টেস্টে ২৪ উইকেট শিকারী এই পেসার-‘সিলেটে প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ অনেক ভাল। ইনডোর প্র্যাকটিসের সুবিধা পাচ্ছি, জিমও পাচ্ছি। ফিটনেসের অবস্থা ভাল। এখন ফিটনেসের দিক থেকে একটু উপরের দিকে যাচ্ছে। প্রথম যখন প্র্যাকটিস শুরু করেছি, ২ সপ্তাহ আগে তখন মনে হয়েছে কি হবে।হিল রানিং করতে পারছি এখানে।’
সিলেটের প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজে মুগ্ধ রাহি-‘সোশ্যাল ডিসটেন্সের কথা যদি বলেন,তাহলে এখানে তা ভাল। স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুঁয়ে প্র্যাকটিস করছি। গ্রাউন্ডসম্যানরা মাস্ক পরছে। আমরা যখন বোলিংয়ের জন্য পিচ চাচ্ছি, তখনই তারা তা ঠিক করে দিচ্ছে। জিম ফ্যাসিলিটিজও এখানে ভাল। ওভারঅল মাঠের যে পরিস্থিতি এবং পরিবেশ, তা আপ টু দ্য মার্ক।’
নেটে বোলিং শুরু করে দিয়েছেন ইতোমধ্যে। এখন বোলিং ফিটনেসের দিকে তাকিয়ে তিনি- এখানে আমাদের জন্য ৪টা উইকেট তৈরি করা হয়েছে। বোলিং ফিটনেস আসতে আর একটু সময় লাগবে।’
(আমাদেরবাংলাদেশ.কম/রিফাত)